RAM

পিসি র‍্যাম কি ? এর কাজ কি ? একটি পিসিতে কতটা র‍্যাম এর দরকার ? বিভিন্ন ধরনের র‍্যাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ।
*********************************************************************************
( www.facebook.com/vlabbd যদি সম্ভব হয় তবে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন এবং পোস্ট টি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন )

র‍্যাম কি ?
র‍্যাম একটি সংক্ষিপ্ত নাম এর সম্পূর্ণ নাম হল ( Random Acces Memory ) । মাদার বোর্ড এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে স্মৃতিতে গঠন এবং লিখন দুটি কাজই সম্পন্ন করা যায় সেই স্মৃতিকে র‍্যাম স্মৃতি বা সংক্ষেপে র‍্যাম বলে । এই স্মৃতি একটি অস্থায়ী স্মৃতি । পিসি তে যতখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিত থাকে ততক্ষণ র‍্যামে তথ্যসমূহ সংরক্ষিত থাকে । বিদ্যুৎ চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাম তার সব তথ্য মুছে ফেলে , তাই র‍্যামকে অস্থায়ী স্মৃতি হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে । সাধারণত তথ্যসমূহ গঠন ও পরিবর্তনে র‍্যাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে । র‍্যাম স্মৃতিতে তথ্য পড়া ও লেখা সব কাজেই সম্পাদন করা যায় বলে একে লিখুন/পঠন স্মৃতি বলা হয় । এক জন কম্পিউটার ব্যবহারকারি র‍্যাম বা গঠন/লিখন স্মৃতিতে তথ্য সংরক্ষণ ও রক্ষিত তথ্য মুছে পুনরাই নতুন তথ্য রাখতে পারে ।

অনেক র‍্যাম স্মৃতিতে আলাদা আলাদা তথ্য ইনপুট ও তথ্য আউটপুট লাইনের বদলে সাধারন Data Lines ব্যবহার করা হয়ে থাকে । লিখনের সময় ডেটালাইন দিয়ে তথ্য স্মৃতিতে পাঠন হয় এবং গঠনের সময় একই লাইন দিয়ে তথ্য স্মৃতি হতে পঠন করা হয় না , এসব ক্ষেত্রে তথ্যরেখা র‍্যাম স্মৃতি ব্যবহার করা হয় ।

» বিভিন্ন ধরনের র‍্যাম সম্পর্কে বিস্তারিত ঃ
সাধারণত কম্পিউটারে যেসকল র‍্যাম এর বিপুন ব্যবহার হয়ে থাকে নিচে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

SRAM :
প্রতিটি মেমোরি সেলের জন্য Static Random Access Memory বা SRAM মাল্টি ট্রানজিস্টার ব্যবহার হয়ে থাকে । এদের সংখ্যা সাধারণত চারটি থেকে ছয়টি হয়ে থাকে । তবে প্রতিটি সেলে ক্যাপাসিটর থাকে না । প্রাথমিকভাবে এটি ক্যাশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

DRAM :
Dynamic random access memory কে পুনঃ পুনঃ রিফ্রেশ হতে হয় এবং এটি এক জোড়া ট্রানজিস্টরসহ মেমোরি সেল বহন করে । ট্রানজিস্টরটিকে কলামের ভেতর প্রতিবিটে একটিভেট করার জন্য dram যথাযথ কলামের মাধ্যমে একটি চার্জ প্রেরণ করা হয়ে থাকে ।

FPM DRAM :
ফাস্ট পেইজ ডায়নামিক র‍্যান্ডাম অ্যাকসেস মেমোরি বা এফপিএম ডির‍্যাম ( Fast Dynamic Random Access Memory ) ছিল প্রকৃতি ধরন । কলাম এবং সারির দ্বারা একটি ডেটা বিটকে স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়া মাধ্যমে এটি অপেক্ষা করে এবং তখন পরিবর্তী বিট এটি শুরু হবার পূর্বে বিটটিকে পড়তে থাকে । L2 ক্যাশ এর সব চেয়ে বেশি স্থান পরিবর্তন হার হল প্রায় ১৭৬ MBps ।

EDO DRAM :
Extended Data – Out Dynamic Random Access Memory এক্সটেন্ডেড ডেটা – আউট র‍্যান্ডাম অ্যাকসেস মেমোরি বা এফপিএম ডির‍্যাম পরবর্তী বিট শুরু করার আগে প্রথম বিটের সকল প্রসেসিংয়ের জন্য অপেক্ষা করে না । প্রথম বিটটি স্থাপন হবার পরপরি EDO DRAM পরিবর্তী বিটকে খুজতে থাকে । এটি FPM DRAM এর চাইতে ৫ শতাংশ বেশি দ্রুত । L2 ক্যাশ এর সবচেয়ে স্থানান্তর হার হল ২৬৪ MBps ।

SDRAM :
Synchronous Dynamic Access Memory এর ক্ষেত্রে ব্রাস্ট মোড কোনসেপ্টর প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে । যার ফলে সিস্টেমের পারফরমেন্স আরও বেড়ে গেছে । EDO DRAM এর চাইতে SDRAM ৫ শতাংশ বেশি দ্রুত গতির । আজকের দিনের ডেস্কটপ কম্পিউটার গুলোতে এটি খুব বেশি ব্যবহার হছে । L2 ক্যাশ এর সর্বোচ্চ স্থানন্তর হার হল প্রায় ৫২৮ MBps ।

DDR SDRAM :
Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM হল SDRAM এর মতোই । কিন্তু এর থেকে উচ্চ ব্রান্ডউইডথ যার মানে হল খুব বেশি গতি । L2 ক্যাশ এর সর্বোচ্চ স্থানন্তর হার হল প্রায় ১,০৬৪ MBps ( DDR SDRAM 133 MHZ এর জন্য ) ।

Credit Card Memory :
ক্রেডিট কার্ড মেমোরি হল একটি প্রপাইটারি সেলফ- কনটেইনন্ড DRAM মেমোরি মডিউল যা নোটবুক কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ স্লটে বসানো হয় ।

PCMCIA Memory Card :
নোটবুকগুলোর জন্য এটি আরেকটি সেফল-কনটেইনন্ড DRAM মেমোরি মডিউল । এই রকম কার্ড গুলো প্রপ্রাইটারি নয় এবং যেকোনো নোটবুক কম্পিউটারের সাথে যাদের সিস্টেম বাস মেমোরি কার্ডের কনফিগারেশনের সাথে মিলে তাতে কাজ করে ।

CMOSRAM :
CMOS RAM হল আপনার কম্পিউটার এবং আরও কিছু ডিভাইস দ্বারা ব্যবহারিত স্বল্প পরিমাণের মেমোরি যা কিনা হার্ড ডিস্ক সেটিংয়ের মতো বিষয় গুলোকে স্মরণ রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে – তার একটি টার্ম । মেমোরি কনটেন্ট গুলোকে বজায় রাখতে এই মেমোরি একটি ছোট ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে ।

VRAM :
VRAM অথবা VideoRAM নামের এই র‍্যামটি Multiport Dynamic Random Access Memory নামেও পরিচিত । এই র‍্যাম গুলো সাধারণত ভিডিও অ্যাডপ্টারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । ‘Multiport’ অংশটি এসেছে এজন্য যে সাধারনভাবে VRAM এর একটি বদলে দুটি স্বাধীন একসেস পোর্ট আছে যা কিনা সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স প্রসেসরকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে র‍্যামকে অ্যাকসেস করার সুযোগ দিয়ে থাকে । VRAM টি গ্রাফিক্স কার্ডে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায় যাদের অনেকগুলিই প্রপ্রাইটারি । ডিসপ্লের কালার ডেপথ এর ক্ষেত্রে VRAM এর পরিমান একটি প্রভাব উপাদান । এছাড়াও গ্রাফিক্স – সঠিক তথ্য ধারনের জন্যও VRAM ব্যবহার হয়ে থাকে । যেমন – থ্রিডি জিওমেট্রিক ডেটা এবং টেক্সচার ম্যাপ । তাই আজকাল অনেক গ্রাফিক্স কার্ডই VRAM এর বদলে SGRAM ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এর পারফরমেন্স VRAM এর প্রায় কাছাকাছি কিন্তু SGRAM এর দাম খুব কম ।

» আপনার পিসিতে কতটা র‍্যাম দরকার ?
কম্পিউটার পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে প্রেসেসরের পরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা হল র‍্যামের । আপনার পিসিতে কি ধরনের র‍্যাম এর দরকার এটা সম্পূর্ণ আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে । আপনি যদি গ্রাফিক্স বা গেম এর কাজ করেন তাহলে আপনার পিসিতে খুব বেশি র‍্যাম এর দরকার হবে । আপনার সিস্টেমটি যদি ধীর সাড়া প্রদান করে এবং হার্ড ডিস্ককে সব সময়ই অ্যাকসেস করে তাহলে আপনাকে আরও বেশি পরিমান র‍্যাম লাগাতে হবে । বর্তমান সময়ে সফটওয়্যারগুলি এতটাই শক্তি শালি হয়েছে যে সফটওয়্যার গুলিকে চালানর জন্য পিসি তে বিশাল পরিমান র‍্যাম এর দরকার পড়ছে । কোন কোন সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম গুলো ২ গিগাবাইটের র‍্যামে কাজেইকরেনা । উইন্ডোজ ৭/৮ মতো উন্নত প্রযুক্তির OS গুলিতে নানা ধরনের সফটওয়্যার চালাতে এবং আপনার কাজের গতির জন্য ২ গিগাবাইট এর বেশি র‍্যাম এর এর ব্যবহার করা দরকার । অ্যাডোবি ডিজাইন , বিভিন্ন ভিডিও এডিট ব্রান্ড এর সফটওয়্যার চালাতে এখুন অনেক বেশি র‍্যাম এর দরকার হয় । এছাড়াও টুডি , থ্রিডি অ্যানিমেশন , রেন্ডারিং , মাল্টিমিডিয়া বিভিন্ন কাজ গুলো করার জন্য প্রচুর র‍্যাম এর দরকার পড়ে । তাই যক্ষুনি একটি কম্পিউটার কিনুন ভবিষ্যৎ এর কথা মাতাই রেখে কিনবেন আর যক্ষুনি একটি র‍্যাম কিনবেন তার আগে ঠিক করে নিবেন আপনি কি কি ধরনের কাজ করবেন আপনার পিসিতে । তবে বর্তমান সময়ে ২ গিবির বেশি র‍্যাম বাবহারে করা উচিত ।

Leave a comment